টাঙ্গাইল জেলার কলেজপাড়া, আমঘাট রোডে ১৫৫ শতাংশ ভূমির উপর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল বিভাগীয় অফিস অবস্থিত। বিভাগীয় অফিসটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। টাঙ্গাইল শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহের সুবিধার্থে এখানে অফিসের জায়গা নেওয়া হয় । অফিসের পাশে উচ্চ জলাধার নির্মাণ, উৎপাদক নলকূপ সমূহ স্থাপন, আয়রন রিমোভাল প্লান্ট তৈরী করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত পানি সরবরাহ স্থাপনা সমূহ পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এক নজরে
- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূণ সংস্থা। নিরাপদ পানি সরবরাহে মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের দায়িত্ব অর্পণ করে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপিএইচহ (DPHE)। পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে এর সাথে যুক্ত করা হয় স্যানিটেশন সেবা প্রদান দায়িত্ব ।
- বর্তমানে ওয়াসার আওতাধীন এলাকা ব্যতীত সমগ্র দেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নির্মাণ ও বজ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত ।
- জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।
- পল্লী এলাকার বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস (টিউবওয়েল) ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনাগুলোর রক্ষাণবেক্ষন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব ।
- প্ললী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নিরমানোত্তোর রক্ষাণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদকে WATSAN কমিটির মাধ্যমে কারিগরি সহায়তা, প্রদান, স্বাস্থ্য পরিচযা জোরদারকরণ এবং পারিপাশ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে ।
- বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানির উৎস (টিউবওয়েল) ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে।
- এছাড়া বন্যা, সাইক্লোন, মহামারী ইত্যাদি কারনে সৃষ্ট জররী পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাযক্রম বাস্থবায়ন করে আসছে ।
- এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কভারেজের দিক দিয়ে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম শীষ স্থান দখল করে আছে ।